রাজধানীর
ধানমন্ডি মডেল থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল
করে ৫ মিলিয়ন ডলার
আদায়ের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। মামলার এজাহারে সেই কূটনীতিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযোগে
বলা হয়, গত ২৯ মার্চ
ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় এক গোপন বৈঠকে
এই পরিকল্পনা হয়। সেখানে মেঘনা, সমিরসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কূটনীতিকের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে ব্ল্যাকমেইল করার সিদ্ধান্ত হয়, যা পেনাল কোডের
৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারায়
অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
মঙ্গলবার
(১৫ এপ্রিল) ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল আলীম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আজ (১৭ এপ্রিল) ঢাকার
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাশুম মিয়া মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। একই মামলায় দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,
ভাটারা থানায় করা আরও একটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল দেওয়ান
সমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মেঘনা আলম। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি জানান, তার সঙ্গে ঈসার বিয়ে হয়েছিল। তবে ঈসার অভিযোগ—তিনি (মেঘনা) গর্ভপাত ঘটিয়েছেন—এটি মিথ্যা বলেও দাবি করেন মেঘনা।
গত
৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি। পরে ১০ এপ্রিল বিশেষ
ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য
আটক রাখার আদেশ দেন আদালত। তবে শুরুতে মামলাহীন অবস্থায় গ্রেপ্তার ও আটকের ঘটনায়
সমালোচনার সৃষ্টি হয়।