মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা—দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া
ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক এবং
পূর্ব ও প্যাসিফিক ব্যুরোর
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু হেরাপ।
আজ (১৭ এপ্রিল)
দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে তারা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান। প্রোটোকল অনুযায়ী, বৈঠকে তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক নানা
বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
কূটনৈতিক
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্কিন শুল্ক বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার অগ্রগতি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসে।
অন্যদিকে,
যুক্তরাষ্ট্রের আলোচ্যসূচিতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমারের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিবেচনায় উভয় পক্ষ এই ইস্যুতে নিজেদের
অবস্থান তুলে ধরতে পারে।
সূত্র
বলছে, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন কমাতে যাচ্ছে। ঢাকার এই সফরে বিষয়টি
স্পষ্টভাবে জানাতে পারে প্রতিনিধি দল। যদিও অর্থায়ন কতটা কমবে কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা এই আলোচনার
মাধ্যমে পরিষ্কার হতে পারে। এছাড়া, আগামী বছর মিয়ানমারে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইতে পারে।
ভূরাজনৈতিক
বিষয় হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টানাপোড়েন ও চীনের সঙ্গে
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে, যার জবাবও দিয়েছে বাংলাদেশ।
এই
সফরকে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের প্রথম ঢাকা সফর হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিকোল এন চুলিক গত
মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছান, আর অ্যান্ড্রু হেরাপ
আসেন বুধবার। একই দিন মিয়ানমারে নিযুক্ত মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনও ঢাকায় আসেন।