স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আরাকান আর্মি অনেকদিন ধরেই লড়াই করছে এবং তাদের অনেকেই বাংলাদেশের এপারে এসে বিয়ে করেছে—এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ভিডিওতে যে চিত্র উঠে
আসছে, বিষয়টি ততটা সরল নয়। তিনি বলেন, টিকটক ভিডিও অনেকভাবে তৈরি করা যায়। সবকিছুই যে সত্য, তা
নয়—আবার সবটাই মিথ্যাও নয়। এ ধরনের বিষয়ে
ব্যালেন্স করে দেখতে হবে।
আজ
(২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ক্লোজডোর মিটিং
শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ
সময় তিনি আরও বলেন, আরাকান সীমান্ত একটি ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো—বর্ডার এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে গেলে এখন মিয়ানমার সরকারকে যেমন ট্যাক্স দিতে হয়, তেমনি আরাকান আর্মিকেও অর্থ দিতে হয়। এখানে একটি জটিলতা আছে, যেটা সবাইকে বুঝতে হবে। তবে সীমান্ত এখন সম্পূর্ণ রক্ষিত রয়েছে।
চট্টগ্রামের
রাউজানে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া—এই
এলাকাগুলো পাহাড় ও সমতলের সংমিশ্রণে
গঠিত। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার তুলনায় আলাদা। সন্ত্রাসীরা এখানে অপরাধ করে দ্রুত পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। তবে কেউ যদি প্রকাশ্যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে
জড়িত থাকে, আমি এখানেই স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি—তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যৌথবাহিনীর
অভিযান বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি। বরং আপনাদের (গণমাধ্যম ও জনগণের) সহযোগিতার
কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।