জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে। এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ
ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। আজ (২৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৫ মে দিন
ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দিন ঢাকার আশুলিয়ায় ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত
হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই দিন পুলিশের
একটি দল ছয়জনকে একটি
গাড়িতে তুলে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরেই তদন্তকারী সংস্থা হত্যার প্রমাণ ও জড়িতদের সনাক্ত
করতে সক্ষম হয়েছে।
এই
একই দিনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের যাত্রাবাড়ী ও রামপুরার গণহত্যাসহ
আরও তিনটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৩ জনকে আদালতে
হাজির করা হয়। আদালত এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।
আজ
ট্রাইব্যুনালে যাদের হাজির করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। এ ছাড়াও ছিলেন
বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক, ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার রাজন কুমার সাহা, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, সাবেক এসআই মো. আব্দুল মালেক, এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল মো. মুকুল হোসেন এবং রবিউল আলম।
তাদের
বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে
সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা আশা করছে, ভিডিও ফুটেজসহ প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।