৫
আগস্ট-পরবর্তী সময়ের মামলাগুলো নিয়ে পুলিশের প্রতিটি স্তরের কর্মকর্তাদের যথাযথ তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে
বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ
(২৮ এপ্রিল) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
আইজিপি এসব কথা বলেন।
তিনি
জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় ৫ আগস্টের পর
দেশে প্রায় ১,৫০০ মামলা
হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০০টি হত্যা মামলা। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার
পর একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামিদের পাশাপাশি অসংখ্য নিরীহ ব্যক্তিকেও আসামি করছে।
আইজিপি
আরও বলেন, কেবলমাত্র তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে এবং গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি
উদাহরণ দিয়ে বলেন, ঘটনায় অপরাধে জড়িত ছিল পাঁচ থেকে দশজন, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় তিনশ' জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা গতকালও ঘটেছে।
জুলাইয়ের
গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন এমন কতজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে— এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত
এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
তিনি
আরও জানান, ঘটনায় পলাতক পুলিশ সদস্যদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে সে কার্যক্রম শুরু
হয়েছে।
মিথ্যা
মামলার দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, তদন্ত শেষে প্রমাণ হলে বাদীর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।