গাজীপুরের
জয়দেবপুর থানার মোগলখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা বেগম (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ (২৯ এপ্রিল) সকালে
রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিইউতে তিনি মারা যান। এ নিয়ে ঘটনায়
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই জনে।
তাসলিমা
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার কাসেম আলীর মেয়ে। তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় স্বামী হোসেন আলী ও দুই সন্তানকে
নিয়ে ভাড়া থাকতেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন।
জাতীয়
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে
জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের মধ্যে তাসলিমা নামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর শরীরের
৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি আজ সকালে মারা
যান।
এর
আগে, সোমবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান সীমা আক্তার (৩০), যিনি ৯০ শতাংশ দগ্ধ
হয়েছিলেন।
বর্তমানে
দগ্ধ অবস্থায় আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন—পারভিন আক্তার (৩৫), যিনি ৩২ শতাংশ দগ্ধ
হয়েছেন; তার এক বছর বয়সী
ছেলে আয়ান, যার শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়েছে;
এবং তাসলিমার ১০ বছর বয়সী
মেয়ে তানজিলা বেগম, যিনি ৯০ শতাংশ দগ্ধ
অবস্থায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য,
গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা
৭টার দিকে জয়দেবপুর থানার মোগলখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।