প্রবাসী
বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ সফল করতে রাজনৈতিক দলের সমর্থন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম
নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া এই প্রক্রিয়া ভেস্তে
যেতে পারে।
আজ (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ বৈঠকে
এসব কথা বলেন সিইসি। ওই বৈঠকে ‘পোস্টাল
ব্যালট’, ‘অনলাইন ভোটিং’ ও ‘প্রক্সি ভোটিং’
পদ্ধতি— এই তিনটি মাধ্যমের
স্বচ্ছতা, ডিজাইন, নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক মান এবং আইনি চ্যালেঞ্জসহ সম্ভাব্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলের
প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।
প্রধান
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। যদিও সীমিত পরিসরে শুরু করতে চাই, তবে রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া এই প্রয়াস টেকসই
হবে না। তাই এই প্রক্রিয়ার সফল
বাস্তবায়নে আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা চাই।
ইসির
জনসংযোগ পরিচালক শরিফুল আলম জানান, বৈঠকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য একটি নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য ভোটিং ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা যাচাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা কাঠামো, আন্তর্জাতিক নির্বাচন অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
বৈঠকে
যেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে— ভোটিং পদ্ধতিগুলোর কারিগরি ও আইনি সম্ভাব্যতা,
যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছতা বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং কার্যকর বাস্তবায়নে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে,
তার সমাধান চিহ্নিত করা।
এর
আগে গত ৮ এপ্রিল
নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগসহ
বিভিন্ন সরকারি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের
প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালার
ধারাবাহিকতায় এমআইএসটি, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়— তিনটি প্রতিষ্ঠান তিন ধরনের ভোটিং পদ্ধতি (পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং, এবং প্রক্সি ভোটিং) নিয়ে তিনটি পৃথক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত কাঠামো, নিরাপত্তা ঝুঁকি, আর্থিক সংস্থান, বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সম্ভাব্য সময়সীমার
সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে।