নির্বাচনের
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ (২৯ এপ্রিল) সকালে
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তিন দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
তিনি এ কথা বলেন।
তিনি
বলেন, গত ১৫ বছরে
স্বৈরাচারী শাসনকালে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত করা হয়েছে। এতে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং অনেক সৎ পুলিশ সদস্যকেও
চরম মূল্য দিতে হয়েছে। স্বৈরাচারের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়েই পুলিশ জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েছে।
নির্বাচনের
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন যেন
শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়,
সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো পরাজিত শক্তি যাতে নির্বাচন পরবর্তী সময়কে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে
বিষয়ে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
নারীর
প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন,
দেশের মানুষ চায়—নারীরা যেন যেকোনো হয়রানির ঘটনায় সহজে পুলিশের সহায়তা পায়। পুলিশ হটলাইনের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে।
তিনি
আরও বলেন, জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঠপর্যায়ের প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে
বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছরের ১১
জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
৬২ জন পুলিশ সদস্যকে
‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ প্রদান করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা নিজ হাতে পদকপ্রাপ্তদের ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ বছর তিন
দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ’ আয়োজন করা হয়েছে।