রাখাইন
রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কক্সবাজার হয়ে কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর বিষয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো
আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো আলোচনা হয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম ইউএনবি-কে দেওয়া এক
প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে জাতিসংঘ
বা অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি। এটা আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই।
তবে
তিনি জানান, জাতিসংঘের নেতৃত্বে যদি রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
শফিকুল
আলম বলেন, বাংলাদেশ সবসময় দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা
পাঠানোই তার উদাহরণ।
এদিকে
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনে চলমান সংকট যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশ
এর অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে পারবে না।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতিসংঘের সহায়তায় পরিচালিত মানবিক তৎপরতা রাখাইনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরিবেশও সৃষ্টি করবে।
তিনি
জানান, বর্তমান বাস্তবতায় রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর কার্যকর পথ হিসেবে বাংলাদেশের
ভৌগোলিক অবস্থানই সবচেয়ে উপযোগী। তবে এ বিষয়ে এখনো
কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সরকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং উপযুক্ত সময়ে দেশের ভেতরের অংশীজনদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।
সম্প্রতি
এই ‘মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে কিছু বড় শক্তির জড়িত
থাকার খবর ছড়ালেও, তা 'পুরোপুরি গুজব ও প্রোপাগান্ডা’ বলে
উল্লেখ করেন শফিকুল আলম। তার ভাষায়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কথিত এই গুজবও সেই
প্রচারণারই অংশ।