জাতীয়
নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফের আলোচনায় এসেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্যে তার
জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার
(৪ মে) রাতে আল জাজিরার সাংবাদিক
জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে প্রশ্ন তোলেন, “হাসনাতের ওপর হামলাকারী কি এই নাসির
মোড়ল?” তিনি ওই পোস্টে নাসির
মোড়লের একাধিক ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করেন। একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এটা নাসির মোড়লের এলাকা। এখানে সমন্বয়কের যাওয়া নিষেধ। যদি আসেন, এইভাবেই আপ্যায়ন করা হবে। — এমন মন্তব্য করা হয়েছে।
-681894525a1ed.png)
অন্যদিকে,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব তার জন্মদিন উপলক্ষে এক স্ট্যাটাসে লেখেন,
পাঠাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ গাজীপুর। ওই পোস্টের মন্তব্যে
নাসির মোড়ল লেখেন, ধন্যবাদটা আমি আর সরকার বাবু
কাকা, শুধুমাত্র দুইজন কাম্য।
স্থানীয়
সূত্র জানায়, হামলার ঘটনার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীতে নাসির মোড়ল নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, মবমারানীর থ্রেট দিছিলা মনে আছে? এখন কী হইলো? থ্রেট
লাইক করি না, মাইন্ড ইট।
নাসির মোড়লের বিরুদ্ধে একাধিক সহিংসতা ও সন্ত্রাস-সংক্রান্ত
মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট শ্রীপুর
উপজেলার প্রশিকা মোড়ে এক যুবলীগ নেতার
গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি ছোড়ার
ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার মামলারও
অন্যতম আসামি তিনি।
জানা
গেছে, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে তিনি
পলাতক এবং দেশত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি মোড়লপাড়া এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় অভিযান
চালিয়ে তার বাবা শফিক মোড়লকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহতের
ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।