× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কোন্দল বাড়ছে বিএনপিতে : শুধুমাত্র এপ্রিলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ মে ২০২৫, ১৫:৪৩ পিএম । আপডেটঃ ০৬ মে ২০২৫, ১৫:৪৫ পিএম

ছবি : সংগৃহিত

বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল বাড়ছে। বিবাদমান বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হচেছ বিএনপির নেতকর্মীরা। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই দলটির অভ্যন্তরণী দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছেন ৭ জন নেতাকর্মী। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে এই পর্যন্ত খুন হয়েছেন অর্ধশতাধিক ।  সংঘাত সহিংসতার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও। শীর্ষ নেতারা মনে করেন ব্যবস্থা নেয়ার কারণেই সহিংসতার মাত্রা কমে এসেছে। তবে  পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দলটির স্থানীয় পর্যায়ের সহিংসতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলোর পেছনে রয়েছে অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং আধিপত্য সৃষ্টির লড়াই। নির্বাচন এগিয়ে আসলে এধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা আরো বাড়বে বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

গত ৫ এপ্রিল রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারা যান দলটির কর্মী লাভলু মিয়া। উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনের সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান তিনি। ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে মো. রায়হান কবির। তার দাবি, টাকার জোরে আগাম জামিন নিয়েছে অভিযুক্তরা।

এই ঘটনার এক সপ্তাহ না যেতেই গত ১১ই এপ্রিল গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় কৃষকদল নেতা রাকিব মোল্লাকে নিজ বাড়ির খুব কাছেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের জেরে খুন হন তিনি।

নিহত রাকিবের মা রুবিনা আক্তার সীমা বলেন, বিএনপির যে জায়গায় রাকিব পৌঁছাতে পারতো, বাকিরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে না বলেই তাকে খুন করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল বিএনপির দলীয় কোন্দলেই মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।

গত অগাস্ট থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আট মাসে ৭৬ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে কেবল বিএনপির অভ্যন্তরীণ সহিংসতায় মারা গেছেন ৫৮ জন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। অভ্যন্তরীণ বিবাদের বিষয়টি শিকার করে  দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংঘাত-সহিংসতা হচ্ছে না, সেটা আমরা বলবো না। কিন্তু দেখতে হবে এটাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা।

জড়িতদের বহিষ্কার করা হয়েছে, পদ স্থগিত করা হয়েছে, শোকজ করা হচ্ছে এবং সেখানে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলে – কেউ এখান থেকে বাদ যাচ্ছে না।

এই ধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণ-সাপেক্ষে জেলা বা থানা পর্যায়ের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা। এভাবে তিন থেকে চার হাজার নেতাকর্মীকে ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা জানান তিনি।

একইসঙ্গে বিষয়গুলোকে দীর্ঘসময় রাজনৈতিক কারণে হয়রানির শিকার হবার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও মনে করেন রিজভী।

এত বড় রাজনৈতিক দল প্রায় ১৫-১৬ বছর রাজনৈতিক নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেছে, এলাকা থেকে উচ্ছেদ করেছে, এত বছর পর ফিরে গেছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় বন্ধন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখেন চেয়ারপারসন। গ্রেফতার হওয়ার আগে বেগম জিয়া যতদিন সক্রিয় ছিলেন, ততদিন দলের মধ্যে সমস্যা বোঝা যায়নি। কিন্তু তারপর থেকেই দলটি অনেক এলোমেলো হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়বে নির্বাচনেও।

সামনে যদি নির্বাচন আসে, তখন এই নির্বাচন নিয়েও কিন্তু তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে চলে যাবে। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব বলয় আছে। অনুগত লোকেরা আছে। তারা সবাই প্রার্থী হতে চাইবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.