দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ (৭ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে নৌপরিবহন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচল বন্ধ, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং নৌযানের রুট পারমিট ও লাইসেন্স মনিটরিং অন্যতম। এছাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বোঝাইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে ঈদ যাত্রায় নৌপথে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পেরেছেন।
তিনি আরও জানান, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টহল ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘাটসমূহে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকেও উন্নত করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। বর্তমানে পণ্য পরিবহনের ৮০ শতাংশই নৌপথের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সন্দীপ ও মহেশখালীতে সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন রুট সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, নদীকে বাঁচাতে হবে, নইলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। অর্থ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে বুড়িগঙ্গা নদী পরিষ্কারের উদ্যোগ বিলম্বিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নদী দূষণ রোধ ও নাব্যতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, বিআইডব্লিউটিসি এর চেয়ারম্যান মোঃ সলিম উল্লাহ এবং বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
উল্লেখ্য, এবারের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে - "দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, সুস্থ থাকবে পরিবেশ, রক্ষা হবে প্রাণ।" ৭ থেকে ১৩ মে ২০২৫ পর্যন্ত এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি চলবে