ভারত
ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে
লক্ষ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে কোনও অপরাধী বা জঙ্গি যেন
এই সুযোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে
বিষয়ে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার
(৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে,
চলমান সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে
উদ্ভূত পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে, তাই দুই প্রতিবেশী দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর
আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতের দাবি অনুযায়ী, এই হামলার লক্ষ্য
ছিল সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংস করা। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ২৬ জন নাগরিক
নিহত হয়েছেন।
পাল্টা
প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি হেরন কমব্যাট ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।