দীর্ঘ
১৬ বছর ধরে যারা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছেন, তারা সবাই এমন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, থাকবে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি—তিনি প্রধানমন্ত্রী হোন বা অন্য কেউ—কোনোভাবেই যেন ক্ষমতার ঊর্ধ্বে বা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত না
হন।
আজ
(৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আলোচনা শুরুর আগে এমন মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক
বিশ্লেষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলোচনায়
উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম
মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান
উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক
রীয়াজ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেভাবেই এখন পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে হবে। কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। যাতে আর কখনও এই
দেশের তরুণদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে না হয়।
তিনি
আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের
পথরেখা নির্ধারণে সহায়ক হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।
আলোচনায়
ভাসানী অনুসারী পরিষদের পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ
সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুল কাদের, পারভীন নাসের খান ভাসানী, আমিনুল ইসলাম সেলিমসহ ১৫ সদস্যের একটি
প্রতিনিধিদল।
প্রসঙ্গত,
সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন
কমিশনের সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে সুপারিশসমূহ স্প্রেডশিট আকারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে
৩৫টি দল মতামত দিয়েছে
এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ ২৭টি দল সরাসরি আলোচনায়
অংশ নিয়েছে।