স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে উঠে আসার প্রেক্ষাপটে সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।
আজ (৯ মে) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার গভীরভাবে বিবেচনায় রাখছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
-681dc8493c07b.jpg)
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার ইতোমধ্যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে প্রচলিত আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগও নিয়েছে সরকার।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ঘটনার পর জনমনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সরকার তা সম্পর্কে অবগত। যারা এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী আবদুল হামিদ গতকাল (৮ মে) দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর সেখানে বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।