রাজধানীর ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ বেগম। সেখান থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে রাজধানী ও মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার কিছু সময় আগে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মমতাজকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে জাতীয় সংসদে গান গেয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে হেরে যান তিনি। এর আগে, ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন মমতাজ বেগম। পরে ২০১৪ সালেও মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকেই ছিলেন আড়ালে। রাজনীতি তো বটেই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও নিখোঁজ ছিলেন মমতাজ। ১৬ জুলাইয়ের পর তাঁর ফেসবুক পেজে আর কোনো পোস্ট ছিল না, যেখানে আগে প্রতিদিনই কিছু না কিছু দিতেন। ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঠিক ৮৮ দিন পর ১৩ অক্টোবর রাতে একটি গানের ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরে আসেন তিনি। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে মন্তব্য করেন, ‘কোথায় ছিলেন?’, ‘আপনি কি বিদেশে?’ কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তির্যক মন্তব্য করলেও বেশির ভাগই ছিলেন গায়িকা মমতাজকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে আপ্লুত। গানটির কথাগুলো নিয়েও শুরু হয় আলোচনা। ‘আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি, পরান বান্ধিবি কেমনে’—এই লাইনগুলো অনেকেই ব্যাখ্যা করেন একটি ‘সাংকেতিক বার্তা’ হিসেবে। কেউ মনে করেছিলেন, এটি আত্মগোপন ভেঙে ফেরার ঘোষণা।