বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সময় দেশে ‘গণহত্যা’ ঘটেছে, তবে এটি ‘জেনোসাইড’ নয়— এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৩ মে) গণমাধ্যমের
সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল
ইসলাম বলেন, ম্যাস মার্ডার মানে গণহত্যা, আর জেনোসাইড মানে
জাতিগত নির্মূল। জুলাইয়ে বাংলাদেশে যে সহিংসতা হয়েছে,
তা গণহত্যা হলেও জাতিগত নির্মূল বা জেনোসাইডের সংজ্ঞার
মধ্যে পড়ে না।
এর
আগে ১২ মে একটি
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়, যেখানে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংসতার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে ‘প্রধান মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ওই তিনজন হলেন—
শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
চিফ
প্রসিকিউটর জানান, এই তদন্ত প্রতিবেদন
হাতে পাওয়ার পর তা পুঙ্খানুপুঙ্খ
বিশ্লেষণ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে আজ
দুটি জানানো হচ্ছে।
প্রথম
অভিযোগটি হলো উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড এবং
দ্বিতীয়টি সরাসরি সহিংসতার নির্দেশনা প্রদান। তিনি আরও জানান, এই অভিযোগের পক্ষে
শেখ হাসিনার বহু কল রেকর্ড রয়েছে,
যেগুলোতে তাকে হত্যা ও অঙ্গহানির নির্দেশ
দিতে শোনা যায়।
চিফ
প্রসিকিউটর জানান, আরও তিনটি নির্দিষ্ট ঘটনার ভিত্তিতে নতুন অভিযোগ এসেছে, যেগুলো পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি বলেন, সব তথ্য ও
প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত সময়ে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হবে।