মাগুরার আলোচিত
শিশু
আছিয়া
ধর্ষণ
ও
হত্যা
মামলার
প্রধান
আসামি
হিটু
শেখের
মৃত্যুদণ্ডাদেশ সংক্রান্ত ডেথ
রেফারেন্সের নথি
হাইকোর্টে পাঠানো
হয়েছে।
বুধবার
(২১
মে)
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছে
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। তবে
মামলাটি দ্রুত
শুনানির জন্য
‘পেপারবুক’ প্রস্তুত করতে
হাইকোর্টকে কোনো
নির্দেশ দেওয়া
হবে
কি
না,
সে
বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নেবেন
প্রধান
বিচারপতি। বর্তমানে তিনি
দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরে
রয়েছেন।
গত
শনিবার
(১৭
মে)
মাগুরার নারী
ও
শিশু
নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক
এম
জাহিদ
হাসান
মামলার
রায়
ঘোষণা
করেন।
রায়ে
হিটু
শেখকে
শিশু
নির্যাতন দমন
আইনের
৯
এবং
২
ধারায়
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া
হয়।
একই
সঙ্গে
মামলার
বাকি
তিন
আসামি—আছিয়ার বোনের জামাতা
সজীব
শেখ,
সজীবের
ভাই
রাতুল
শেখ
এবং
হিটু
শেখের
স্ত্রী
রোকেয়া
বেগম—কে খালাস দেওয়া
হয়।
আদালত
তার
রায়ে
১৬৪
ধারায়
দেওয়া
আসামির
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল প্রতিবেদন, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং
অন্যান্য প্রমাণকে গুরুত্ব দিয়ে
রায়
প্রদান
করেন।
দ্রুততম সময়ে
সম্পন্ন হওয়া
এই
মামলার
বিচার
কার্যক্রম মাত্র
২১
কার্যদিবসেই শেষ
হয়।
ঘটনার
শুরু
৬
মার্চ,
যখন
মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে
বোনের
শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে
গিয়ে
ধর্ষণের শিকার
হয়
শিশু
আছিয়া।
পরবর্তীতে তাকে
মাগুরা
২৫০
শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি
করা
হয়
এবং
অবস্থার অবনতি
হলে
ফরিদপুর মেডিকেল হয়ে
ঢাকার
সম্মিলিত সামরিক
হাসপাতালে পাঠানো
হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩
মার্চ
মৃত্যুবরণ করে
সে।
এই
ঘটনার
পর
৮
মার্চ
আছিয়ার
মা
আয়েশা
আক্তার
সদর
থানায়
চারজনকে আসামি
করে
মামলা
দায়ের
করেন।
১৫
মার্চ,
প্রধান
আসামি
হিটু
শেখ
পুলিশের রিমান্ডে থাকা
অবস্থায় সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন,
যেখানে
তিনি
এই
জঘন্য
ঘটনায়
একাই
জড়িত
থাকার
কথা
স্বীকার করেন।
১৩
এপ্রিল
মামলার
তদন্ত
কর্মকর্তা ওসি
(তদন্ত)
আলাউদ্দিন সরদার
আদালতে
তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিল
করেন।
এরপর
২৩
এপ্রিল
চার্জ
গঠনের
মাধ্যমে শুরু
হয়
বিচার
কার্যক্রম। ২৭
এপ্রিল
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
হয়ে
৭
মে
তা
শেষ
হয়।
৮
মে
আসামিদের ৩৪২
ধারায়
পরীক্ষা এবং
১২
ও
১৩
মে
যুক্তিতর্ক শেষে
১৭
মে
রায়
ঘোষণা
করেন
বিচারক।