ছবিঃ সংগৃহীত।
নির্বাচন কোনটি আগে হবে, আর কোনটি পরে হবে—এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই ঠিক করবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু নির্বাচন আয়োজন করা।
বুধবার
(২১ মে) সকাল ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনে এ এম এম
নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় কমিশনের পঞ্চম
সভা। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সানাউল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে। জাতীয় নির্বাচন হোক বা স্থানীয় সরকার
নির্বাচন—কোনটি আগে হবে, সেটা নির্ধারণ করা সরকারের এখতিয়ার।
সম্প্রতি
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে এবং সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে জানতে
চাইলে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বিষয়টিকে রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।”
এই
সময় নির্বাচন ভবনের বাইরে এনসিপির বিক্ষোভ চলছিল। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
এরই
মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ধারণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানালেও এনসিপি সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়।
সম্প্রতি
ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ের ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
কোনো আপিল না করায় কমিশনের
নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচন সংক্রান্ত সব আইনি বিধান
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কমিশনের পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি
বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৫০,
স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর ধারা ৫৪,
পৌরসভা নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ধারা ৫৪,
উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০১৩-এর ধারা ৫৬
এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ধারা ৫৪—এসব আইনে কোথাও নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার কথা বলা হয়নি। সানাউল্লাহ আরও জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ
পর্যন্ত কোনো সময় কমিশন পক্ষভুক্ত হয়ে আপিল বা মামলা করেনি।
সভায় নির্বাচন আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়াও নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় চার কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh