জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, করিডর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের কোনো আলোচনা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এমন কিছু হবে না। তিনি বলেন, “দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কোনো কথা হবেও না।” করিডর কী, সেটি বুঝতে হবে উল্লেখ করে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “করিডর বলতে বোঝানো হয়—দুর্যোগপূর্ণ এলাকার মানুষদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার একটি সাময়িক ব্যবস্থা। আর এখানে আমরা কাউকে কোথাও সরিয়ে নিচ্ছি না।”
বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিলুর রহমান। তিনি আরও বলেন, “আরাকানে যেভাবে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে কোনো করিডোরের প্রয়োজন নেই। সেখানে আমরা কোনো করিডোর সৃষ্টি করে লোকজনের যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থাও করছি না। একমাত্র প্রয়োজন হচ্ছে—ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া।”
জাতিসংঘের সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের গত ৭-৮ বছর ধরে জাতিসংঘ সহায়তা দিয়ে আসছে। তারা আমাদের অনুরোধ করেছে, সীমান্তে কিছু সহায়তা যেন আমরা তাদের পক্ষে আরাকানে পৌঁছে দিতে পারি।” তিনি নিশ্চিত করেন, একমাত্র দুই দেশের সম্মতির ভিত্তিতেই এই সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব জাতিসংঘ গ্রহণ করবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করবো। যাতে কোনো ধরনের মাদক কিংবা অস্ত্র ওপারে না যায়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্থা থাকবে।”