জাতীয়
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
তার নাগরিকত্ব নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, “আমি কেবল যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি বলে যদি আমাকে বিদেশি বলা হয়, তাহলে একইভাবে তারেক রহমান সাহেবকেও তা বলতে হবে।”
বুধবার
(২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে
তিনি এসব কথা বলেন।
খলিলুর
রহমান বলেন, “আমার একটাই নাগরিকত্ব—বাংলাদেশের। আমি যুক্তরাষ্ট্রে আমার পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করলেও, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমি আর কোনো দেশের
নাগরিক নই।”
বিএনপির
উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা বুঝেশুনে কথা বলুন। যদি আমাকে ঢিল ছোড়েন, সেটা কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে। আমি যা নই, আমাকে
সেটা বানানোর চেষ্টা করবেন না, প্লিজ।”
তিনি
আরও বলেন, “আমার বাংলাদেশি হিসেবে কিছু অধিকার আছে। সেই অধিকারকে সম্মান না দিলে তা
দুঃখজনক। যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে আদালতে গিয়ে প্রমাণ করুন।”
সম্প্রতি
খুলনায় এক বক্তব্যে বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, “সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বিদেশি নাগরিক নিয়োজিত আছেন।” তার মতে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিদেশি কারো হাতে থাকা অনুচিত এবং তা ষড়যন্ত্রের জন্ম
দিতে পারে।”
তিনি
আরও বলেন, “এই ব্যক্তি বাংলাদেশে
অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা তা হতে দেব
না।”
এ
বিষয়ে ড. খলিলুর রহমান
স্পষ্ট করেন, “এই ধরনের অভিযোগ
ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার দায়িত্ব
পালনে আমি দেশের স্বার্থকেই সর্বাগ্রে রাখি।”