দেশের
প্রয়োজন দেখা দিলে পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসাইন এবং কনক সরওয়ার একসঙ্গে দেশে ফিরবেন—এমন বার্তা দিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার পিনাকী
ভট্টাচার্য। শুক্রবার (২৩ মে) বাংলাদেশ
সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ওই পোস্টে পিনাকী বলেন, দেশের প্রয়োজনে এবং অধ্যাপক ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তারা তিনজন একসঙ্গে ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
এই
ঘোষণাটি আসে এমন এক সময়ে, যখন
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্রুতগতিতে পরিবর্তন ঘটছে। সর্বশেষ আলোচিত বিষয়টি হলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনার পেছনে
একটি অশুভ চক্রের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চক্রে মোট
সাতজন ব্যক্তি জড়িত—চারজন দেশের ভেতরে এবং তিনজন বিদেশে। যদিও তারা উচ্চশিক্ষিত, তবে চরম দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতি তাদের প্রবল ঝোঁক রয়েছে। এই গোষ্ঠী চায়
না, দেশ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাক। বরং তারা অধ্যাপক ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করে তোলার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
-683054d860703.png)
এই
প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না; বরং এতে করে সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। ইউনূস যদি সঠিক সময়ে দৃঢ় ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত
নিতে ব্যর্থ হন, তবে বর্তমান পরিস্থিতি তার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এতে শুধু তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই নয়, সম্ভাব্য পরিবর্তনের পেছনে যে বিপ্লবী চেতনা
কাজ করছে, সেটিও হুমকির মুখে পড়বে।
এমন
এক টালমাটাল সময়ে একটি অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানা যাচ্ছে, দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। পিনাকী ভট্টাচার্য ও তার সঙ্গীদের
ঘোষণাটি সেই সম্ভাব্য রাজনৈতিক রূপান্তরেরই একটি পূর্বাভাস বলে মনে করছেন অনেকেই।