কুড়িগ্রামের
রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয়
নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার ঘটনায় সীমান্তে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র
করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
মঙ্গলবার
(২৭ মে) ভোরে বড়াইবাড়ী সীমান্তের ১০৬৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের সাব-পিলার ১-এর কাছে
এই ঘটনা ঘটে। উত্তেজনা সকাল ৯টা পর্যন্ত বিরাজ করে বলে জানিয়েছেন বিজিবির বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আঞ্জু মিয়া।
স্থানীয়
সূত্রে জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের মানকারচর থানা এলাকার কাকরি পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ১৪ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশের সীমান্তে ঠেলে দেয়। বিজিবি টহল সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে পুশইন হওয়া লোকজনকে ফিরিয়ে দিতে শূন্যরেখায় (নোম্যান্সল্যান্ড) নিয়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে গালাগালি শুরু করে এবং পরপর চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এ
সময় বিজিবি প্রতিবাদ জানিয়ে শূন্যরেখায় অবস্থান নেয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও বিজিবির পাশে অবস্থান নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএসএফ গেট খুলে জোর করে লোকজনকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়, পরে বিজিবি তাদের বাধা দিয়ে সীমান্তরেখায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা আগ্রাসী আচরণ শুরু করে।
এ
বিষয়ে বিজিবির জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের সহকারী
পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও অ্যাডজুটেন্ট শামসুল
হক জানান, বিএসএফের অবৈধ পুশইন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিজিবি কঠোরভাবে বাধা দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা আসলে কোন দেশের নাগরিক, তা যাচাই করা
হচ্ছে।