জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণহত্যার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ দাখিলের পর তাৎক্ষণিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যা ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
শুনানিতে অংশ নিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, “এই বিচার কোনো রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিজ্ঞা। এই আদালত এমন এক সময়ের সাক্ষ্য বহন করছে, যা ইতিহাসে দলিল হয়ে থাকবে। আমরা চাই এই বিচার হোক নিরপেক্ষ, প্রমাণনির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক।”
প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার পক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করবে। এতে রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন ও সিসিটিভি চিত্র, অভিযুক্তদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড, ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণের ফরেনসিক বিশ্লেষণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য, সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি, ভিডিও এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন ও তথ্যচিত্র।