সরকারি চাকরি আইন সংশোধনসংক্রান্ত ২০২৫ সালের অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে রোববার (১ জুন) ফের বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল পৌনে ১২টার দিকে তারা বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, সংশোধিত আইনটি চাকরিজীবীদের জন্য ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এতে সামান্য অভিযোগের ভিত্তিতেও সহজেই শাস্তি বা চাকরিচ্যুতির সুযোগ রাখা হয়েছে, যা অন্যায্য ও মানবাধিকার পরিপন্থি। তারা অবিলম্বে অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজই ভূমি, বিদ্যুৎ ও পরিবেশ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনরতদের। একইসঙ্গে তারা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল (সোমবার) স্থানীয় সরকার ও তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।
বক্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে এ অধ্যাদেশ পাস হওয়ায় তারা আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে এখন যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, তারা আশা করছেন আজকের মধ্যেই এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ঘোষণা আসবে।
তাদের হুঁশিয়ারি—দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে। এই আন্দোলনে সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।