অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।” 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। বাজেট বক্তৃতাটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।” তিনি জানান, নির্বাচন ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা ও আদেশ সংশোধন ও হালনাগাদ করার কাজ শুরু হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, বিশেষ করে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) প্রযুক্তি যা ভোটার ও কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণে সহায়ক হবে।

নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইসির জন্য ২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট (৭১৬ কোটি টাকা) থেকে প্রায় চারগুণ বেশি।

তিনি বলেন, “স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। এই বাজেট তারই প্রতিফলন।”

অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট বক্তৃতায় এই রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলোকে দেশের আগামী দিনের গণতান্ত্রিক পথে ফেরার নির্দেশনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।