জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা-ই স্থান পাবে ‘জুলাই সনদ’-এ। এমনটাই জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, কমিশন চায় জুলাই মাসের মধ্যেই এই সনদের কাজ শেষ করতে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হয়। আলোচনা শুরুর আগে আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আজকের বৈঠক ও পরবর্তী আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক। ঈদুল আজহার আগে একদিন এবং ঈদের পরেও ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এমন আলোচনা চলবে। আলোচনার মূল ফোকাস থাকবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব মৌলিক প্রস্তাবে এখনো পূর্ণ ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোর ওপর।
উল্লেখযোগ্য বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংস্কার, সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোতে বিরোধী দলের ভূমিকা জোরদার করা, সংসদে নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানো এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদকাল সংক্রান্ত প্রস্তাব।
আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর আগে প্রথম দফার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত।