× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন, অধ্যাদেশ জারি

ডেস্ক রিপোর্ট

০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম । আপডেটঃ ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৩ জুন) মধ্যরাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এই সংশোধনের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) যারা পরবর্তীকালে গণপরিষদের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন, এখন থেকে তাঁরা “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” হিসেবে বিবেচিত হবেন। এত দিন তাঁদের “বীর মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হতো।

এই পরিবর্তনের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনৈতিক নেতার আর “বীর মুক্তিযোদ্ধা” খেতাব থাকল না। তাঁরা এখন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে গণ্য হবেন।

অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের জন্য পাঁচটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শ্রেণিভুক্তদের মধ্যে আছেন—মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে অবস্থান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা পেশাজীবী ও বিশ্বজনমত গঠনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা, মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিযুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, মুক্তিযুদ্ধপন্থী সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

নতুন সংজ্ঞায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন তাঁরা, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ভেতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন অথবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে নাম নিবন্ধন করে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করেছেন। সেই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ, মুক্তিবাহিনী, মুজিবনগর সরকার স্বীকৃত বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্যরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

এই আইনে আরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত সব নারী—যাঁরা “বীরাঙ্গনা” নামে পরিচিত, তাঁদেরও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে। একইভাবে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিল্ড হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীদেরও এবার বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

সংশোধিত আইনে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শব্দগুচ্ছটি পরিবর্তন করা হয়েছে, যদিও নতুন পরিভাষাটি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, “মুক্তিযুদ্ধ” শব্দের নতুন ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে—এটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত যুদ্ধ, যা হানাদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগী শক্তির বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছিল।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.