শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়নি—এ খবরটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন—এটা ঐতিহাসিক সত্য। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না।”
ফারুক ই আজম আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, “মুজিবনগর সরকারকে ‘সহযোগী’ বলা হয়নি। বরং ওই সরকারের অধীন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। যারা দেশের ভেতরে বা বাইরে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, কিন্তু সরাসরি সশস্ত্র ছিলেন না, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন, তবে ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে।”
তিনি বলেন, “সহযোগী বলার অর্থ এই নয় যে, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বরং তাদের অবদানও অসাধারণ এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও তাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য হবে না। সবাই সমানভাবে মূল্যায়িত হবেন।”
মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কোনো নতুন সংজ্ঞা দেইনি। বর্তমান সংজ্ঞাটি ১৯৭২ সালের মূল সংজ্ঞায় ফিরে যাওয়া। এটি ২০১৮ ও ২০২২ সালে পরিবর্তন হয়েছিল, এখন আমরা আবার বাহাত্তরের সংজ্ঞায়ন পুনর্বহাল করেছি।”