তিনি জানান, ঈদের দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে এবং বৈরী পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিকল্প হিসেবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মো. শাহজাহান মিয়া জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভিআইপি ব্লকে একসঙ্গে ২৫০ জন মুসল্লির জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। নারী মুসল্লিদের জন্য থাকবে আলাদা নামাজের জায়গা এবং পৃথক প্রবেশপথ। মুসল্লিদের জন্য অজু, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকবে মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স।

নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠজুড়ে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া মুসল্লিদের স্বাচ্ছন্দ্যে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য আলাদা গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রশাসক আরও জানান, নগরবাসীর কোরবানির পশু কেনাবেচার সুবিধার্থে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আটটি অস্থায়ী হাট স্থাপন করা হয়েছে। এসব হাটে থাকবে পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, এটিএম বুথ এবং পশু চিকিৎসার জন্য আলাদা মেডিকেল টিম। হাট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জায়গাগুলো পরিষ্কার করে ফেলা হবে।

কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি জানান, ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে ডিএসসিসি কাজ করবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি। এবার প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন। ঈদের জামাত, কোরবানির হাট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য নগর ভবনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।