আজ সেই মহামিলনের দিন পবিত্র হজ। আরাফাতের পবিত্র ময়দানে আজ একত্রিত হয়েছেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তারা দাঁড়িয়ে আছেন এক অভিন্ন কিবলার দিকে মুখ করে এক প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, আত্মশুদ্ধির অপরিসীম আকাঙ্ক্ষায়।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এই হজ, যা সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলমানের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। হজের মূল ও শ্রেষ্ঠ রুকন ওকুফে আরাফা আজ সম্পন্ন হচ্ছে। হাজিরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান করবেন, পরিপূর্ণ একাগ্রতায় আল্লাহর দরবারে অশ্রুসিক্ত প্রার্থনায় নিবিষ্ট হবেন। বলা হয়ে থাকে, আজকের দিনেই আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি বান্দাকে ক্ষমা করেন।
আরাফাতের ময়দান থেকে হাজিরা যাবেন মুযদালিফায়, সেখানে রাত যাপন শেষে আগামীকাল মিনায় শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপ, পশু কোরবানি এবং কাবা শরিফ তাওয়াফের মাধ্যমে হজের পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে এখন লাখো মুসলমানের পদচারণায় মুখর। নিরাপত্তা, চিকিৎসা, যাতায়াত, খাদ্য ও আবাসন— সবখানে রয়েছে কঠোর ব্যবস্থাপনা। হজযাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনী।
হজের শিক্ষা: আত্মশুদ্ধি, সাম্য ও ঐক্য
হজ কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়— এটি মানবতার এক বিরল দৃশ্য। এখানে নেই জাত-পাত, বর্ণ-ভাষা কিংবা ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ। সবার পরনে সাদা ইহরাম, সবার কণ্ঠে একই ধ্বনি “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…”
এই মহামিলন আমাদের শেখায়—
আত্মত্যাগ ও বিনয়
ধৈর্য ও সহনশীলতা
ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের গুরুত্ব
আজকের এই পবিত্র দিনে আসুন আমরা দোয়া করি—
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি, সংহতি ও কল্যাণ, আর নিজেদের জীবনে হজের শিক্ষা বাস্তবায়নের শক্তি।