আসন্ন ঈদুল আজহায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ লক্ষ্যে ঈদের দিন থেকেই মাঠে থাকবে প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।
তিনি জানান, ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে ডিএসসিসি ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ২০০টি মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রেখেছে। এবার প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন।
প্রশাসক আরও জানান, ঈদের জামাত, কোরবানির পশুর হাট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির জন্য নগর ভবনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি অনুরোধ জানান, নির্ধারিত স্থানে কোরবানি সম্পন্ন করতে এবং বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে যেন সবাই সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন, “আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদের জামাতে অংশ নিন। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করব, ইনশাআল্লাহ।”
সংবাদ সম্মেলনের আগে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং ঈদের জামাত আয়োজনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি জানান, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যদি ঈদগাহে জামাত আয়োজন অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জাতীয় ঈদগাহে গ্রহণ করা হয়েছে নানা সেবা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিস্তৃত পরিসরে জামাতের ব্যবস্থা। ভিআইপি মুসল্লিদের জন্য নির্ধারিত ব্লকে একসঙ্গে ২৫০ জনের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে থাকবে পর্যাপ্ত অজু, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। মাঠে মোতায়েন থাকবে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়াও প্রস্তুত থাকবে মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স।