সোমবার (৯ জুন) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আগে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল—স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে—এখন সেই শঙ্কা আর নেই। কারণ, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা নির্বাচন কমিশনকে একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ তাদের অধিকাংশ দৈনন্দিন সেবা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেই পেয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা কার্যকরভাবে প্রদান করা যাচ্ছে না। এতে নাগরিক জীবনে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, যা সরকারের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সরকার নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে অনেক সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুরু থেকেই সরকারের সদিচ্ছা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তর রয়েছে—সেগুলোর মধ্যে কোন স্তরে কী পরিমাণ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব, তা মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

মিডিয়া প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাদেশ নিয়ে কিছু গুজব ছড়ানো হয়েছে, যা দুঃখজনকভাবে কিছু মূলধারার মিডিয়াতেও প্রচারিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো সাধারণ ঘটনা হতে পারে, কিন্তু যখন সেই গুজব মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় যায়, তখন তা পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করে এবং জাতিগতভাবে আমাদের পিছিয়ে দেয়। এসব গুজবের সত্যতা যাচাই করতে পরবর্তীতে ফ্যাক্ট-চেকের সহায়তা নিতে হয়, যা গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন তোলে।

এই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ পড়ুয়া, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা।