তিনি বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে কাজ করাও কমনওয়েলথের অগ্রাধিকারভুক্ত কর্মসূচির অংশ। বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ভবিষ্যতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জলবায়ু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমনওয়েলথের বহু সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেক দেশ আয়তনে ছোট। এসব দেশের জন্য জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে কমনওয়েলথ।

অন্যদিকে, সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস ক্রীড়া খাতে সম্ভাবনা যাচাই এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরুণদের আরও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করতে পারে। তরুণ ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কমনওয়েলথকে স্মরণীয় করে রাখার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে ক্রীড়া।

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি জুন মাসেই ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথের ২.৭ বিলিয়ন জনগণের মধ্যে প্রায় ১.৫ বিলিয়নই তরুণ, এবং তাদের দক্ষতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, কমনওয়েলথ বৃত্তি কর্মসূচিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে—যা অধ্যাপক ইউনূস গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।