বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “ইচ্ছে করলে তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের সালনা হাইওয়ে থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
এ সময় সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ভারতের মাধ্যমে কথিত বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত থেকে যাদের পুশ ইন করা হচ্ছে; তারা প্রোপার চ্যানেলে আসছেন না। তাদের অমানবিকভাবে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি ভারতের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। “যদি তারা প্রকৃত বাংলাদেশি হন, তবে নিয়ম মেনেই পাঠানো উচিত।”
তারেক রহমানের দেশে ফেরা সংক্রান্ত প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তারেক রহমানের দেশে আসতে কোনো বাধা নেই। তিনি চাইলে আজই ফিরতে পারেন।”
এ মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে যাচ্ছে লন্ডনে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হোটেল ডোরচেস্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তারেক রহমান নিশ্চয়ই দেশে ফিরবেন, অবশ্যই ফিরবেন। শিগগিরই ফিরবেন।” তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমি যা বলবো, তা খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করবেন না। যেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলো বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।”
তিনি এ সময় করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ করেন এবং পলিথিন ব্যবহারে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাপনের উপর জোর দেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনার আবহ এবং নির্বাচনী সংলাপের প্রেক্ষাপটকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারে।