বিএনপি নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল স্বীকৃত মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আজ (সোমবার) নগর ভবনে প্রথমবারের মতো একটি আনুষ্ঠানিক সভায় অংশ নিয়েছেন। নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের পাশে লেখা ছিল “মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন”।
সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে। ‘পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ’– এই উদ্দেশ্যে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ইশরাক হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করতে দেখা যায় উপস্থিত কয়েকজনকে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, “এই আন্দোলন চললেও নাগরিক সেবা বন্ধ হয়নি। জনগণের দুর্ভোগ যেন চরম আকার ধারণ না করে, সেই চেষ্টা আমাদের ছিল এবং থাকবে।”
তিনি জানান, আগামীকাল (১৭ জুন) তিনি ৭০টিরও বেশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে 'ওয়ার্ড মনিটরিং কমিটি' গঠন করা হবে এবং সচিবদের মাধ্যমে জন্ম, মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ প্রদান কার্যক্রম চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মশক নিধন ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী পরশু (১৮ জুন) স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে। স্বাস্থ্যসেবা যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
সরকারি গেজেট প্রকাশের পরও শপথ না হওয়া প্রসঙ্গে ইশরাক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আইনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আজও সরকার আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। বরং রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে নগর ভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “প্রশাসক বসিয়ে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান প্রশাসকের পিএস শত কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত।”
এর আগে, রোববার (১৫ জুন) ইশরাক ঘোষণা দেন, “জনগণের সেবামূলক কার্যক্রম আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে। তবে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা থাকবে।” আজ সকালে তিনি পুনরায় নগর ভবনে উপস্থিত হন এবং সমর্থকরাও ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
সভা শেষে ইশরাক জানান, নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত জানানো হবে।