সমুদ্রপথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুরক্ষায় নবীন নৌ কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, নৌবাহিনীকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জাহাজ ও সাবমেরিন সংযোজন করা হচ্ছে।
আজ রোববার (২২ জুন) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে আয়োজিত নৌবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০২২ ব্যাচের মিডশিপম্যান এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২৫ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পরে কৃতিত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন তিনি। এর আগে, নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান।
এবারের কুচকাওয়াজে সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মিডশিপম্যান মেহেরাব হক তনি ‘নৌপ্রধান স্বর্ণপদক’ এবং সাব-লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। এ ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো বিদেশি প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে সুদানের নাগরিক আবু হুরায়রাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নেতৃত্বের সর্বোচ্চ গুণাবলি ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সুনীল সমুদ্রসীমা রক্ষায় নৌবাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। এ বাহিনীকে আধুনিক ও কার্যকর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের আমদানি-রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ রক্ষায় নবীন নৌ-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এ বছর মোট ৫২ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার। কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন