পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন কিছু রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিমসহ রাজনৈতিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের লিখিত জবানবন্দি ই-মেইলে নেওয়া হয়েছে। চাল-ডাল কর্মসূচি জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতাসহ নানান ধরনের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়া হয়েছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত।
দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। ২০০৯ সাল, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কলঙ্ক জনক ঘটনার সাক্ষী হয় দেশের মানুষ। বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে।
রাজধানীর সাইন্সল্যাবরেটরিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘটনার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতায় ভয়াবহ রূপ নেয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড। কমিশনের প্রধান জানান, এ হত্যাকাণ্ড তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এরমধ্যেই শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেলের তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিমসহ ১৪ জনকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পরে ঘটনার কারণ ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য চাল-ডাল কর্মসূচি, জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা এবং মাদরাসায় পড়াশোনা সম্পন্ন করা জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।
এখনও ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং কিছু বিদেশি ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ বাকি থাকায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুডান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।