ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ২১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। জেলার ছাগলনাইয়ার মাটিয়াগোধা, দক্ষিণ সতেরো, উত্তর সতেরো, লক্ষ্মীপুর, নিচিন্তা ও কাশিপুরসহ ১০টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
বিপাকে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। দুই উপজেলার কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বানভাসীদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, বন্যার্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য স্পিডবোট নিয়ে আসা হয়। পর্যায়ক্রমে বন্যাকবলিত পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ সতর এলাকার বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, অতিবৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়িসহ সবকিছু তলিয়ে যাচ্ছে। গেল বছরের বন্যায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। দেশে ক্ষমতা আর সরকারের পরিবর্তন হলেও আমাদের ভাগ্য কখনো পরিবর্তন হয় না।
এদিকে নোয়াখালীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি অসংখ্য মৎস্য খামারে ভেসে গেছে মাছ। জেলার বেগমগঞ্জ অনন্তপুরে ৯০ একর বিশিষ্ট আরএমএ মৎস্য খামারে গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে পানিতে ভেসে গেছে খামারটি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন খামারের মালিক।