গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তৎকালী শেখ হাসিনা সরকার। ওই সময় ঢাকায় বার্তা সংস্থা এএফপির অফিসে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। তখন তথ্য আদান-প্রদানে অনেক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে এএফপি অফিসের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, ওই সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।
বরং তার ভয় ছিল, গ্রেপ্তারের পর তাকে সাধারণ কোনো কারাগারে পাঠানো হবে। যেখানে হাই কমোড থাকবে না। কারণ তার হাঁটু ভেঙে যাওয়ায় তিনি সাধারণ টয়লেটে বসে প্রস্রাব ও মলত্যাগ করতে পারেন না। এ জন্য তিনি তার স্ত্রীকে আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টির ব্যবস্থা করতেও বলেছিলেন।
রবিবার (২০ জুলাই) নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এসব কথা জানান প্রেসসচিব।
ফেসবুক পোস্টে প্রেসসচিব লেখেন, গত বছর কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের দিনগুলোতে লন্ডনে অবস্থিত বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একজন সাংবাদিক আমাকে প্রথম সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানান, আমাকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, হাসিনার একজন মন্ত্রী আমাকে মিথ্যা প্রচার এবং ‘সন্ত্রাসীদের’ মুখপাত্র বলে অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি আরো লেখেন, এরপর থেকে আমি চিন্তিত ছিলাম। আলজাজিরার তানভীর চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের আরো দুই সাংবাদিক একইভাবে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, হাসিনা সরকার এই ব্যাপারে সচেতন ছিল, শাটডাউনের সময় এএফপির দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ছিল এবং আমি আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্থানীয় এবং বিদেশি সাংবাদিকদের তাদের গল্প, ছবি ও ভিডিও পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলাম।
শফিকুল আলম জানান, সেই দিনগুলোতে আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ গ্রেপ্তার নিয়ে ছিল না। আমার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ছিল, তারা আমাকে জেল হেফাজতে নির্যাতন করবে না।
কারণ আমি এএফপির ব্যুরোপ্রধান ছিলাম। আর এএফপি একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফরাসি সংবাদ সংস্থা। আমার ভয় ছিল, তারা যদি আমাকে গ্রেপ্তার করে, তাহলে তারা আমাকে একটি সাধারণ কারাগারে পাঠাবে যেখানে কোনো হাই কমোড নেই। আমার হাঁটু ভেঙে গেছে। সাধারণ টয়লেটে বসে আমার প্রস্রাব ও মলত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, প্রথমেই সে যা করবে তা হলো একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিয়োগ দেবে; যাতে সে জেলে হাই কমোডে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। আমার স্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছিল। সে জানত, আমি মজা করছি না। আমি আমার এএফপি সহকর্মীদের, আমার সাবেক সহকর্মীদের এবং কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদেরও কর্তৃপক্ষের কাছে আমার মামলাটি তুলে ধরতে বলেছিলাম।
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, আল্লাহ করুণাময়। আমি জেলে যাইনি। কিন্তু আজও আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো, যদি আমি কখনো জেলে যাই, তাহলে কি আমি হাই কমোডে যাওয়ার সুযোগ পাব!
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। এরপর টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধের পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হয়।
গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তৎকালী শেখ হাসিনা সরকার। ওই সময় ঢাকায় বার্তা সংস্থা এএফপির অফিসে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। তখন তথ্য আদান-প্রদানে অনেক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিককে এএফপি অফিসের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, ওই সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন না।
বরং তার ভয় ছিল, গ্রেপ্তারের পর তাকে সাধারণ কোনো কারাগারে পাঠানো হবে। যেখানে হাই কমোড থাকবে না। কারণ তার হাঁটু ভেঙে যাওয়ায় তিনি সাধারণ টয়লেটে বসে প্রস্রাব ও মলত্যাগ করতে পারেন না। এ জন্য তিনি তার স্ত্রীকে আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টির ব্যবস্থা করতেও বলেছিলেন।
রবিবার (২০ জুলাই) নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে এসব কথা জানান প্রেসসচিব।
ফেসবুক পোস্টে প্রেসসচিব লেখেন, গত বছর কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের দিনগুলোতে লন্ডনে অবস্থিত বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের একজন সাংবাদিক আমাকে প্রথম সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানান, আমাকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, হাসিনার একজন মন্ত্রী আমাকে মিথ্যা প্রচার এবং ‘সন্ত্রাসীদের’ মুখপাত্র বলে অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি আরো লেখেন, এরপর থেকে আমি চিন্তিত ছিলাম। আলজাজিরার তানভীর চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের আরো দুই সাংবাদিক একইভাবে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, হাসিনা সরকার এই ব্যাপারে সচেতন ছিল, শাটডাউনের সময় এএফপির দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ছিল এবং আমি আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্থানীয় এবং বিদেশি সাংবাদিকদের তাদের গল্প, ছবি ও ভিডিও পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলাম।
শফিকুল আলম জানান, সেই দিনগুলোতে আমার সবচেয়ে বড় উদ্বেগ গ্রেপ্তার নিয়ে ছিল না। আমার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ছিল, তারা আমাকে জেল হেফাজতে নির্যাতন করবে না।
কারণ আমি এএফপির ব্যুরোপ্রধান ছিলাম। আর এএফপি একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফরাসি সংবাদ সংস্থা। আমার ভয় ছিল, তারা যদি আমাকে গ্রেপ্তার করে, তাহলে তারা আমাকে একটি সাধারণ কারাগারে পাঠাবে যেখানে কোনো হাই কমোড নেই। আমার হাঁটু ভেঙে গেছে। সাধারণ টয়লেটে বসে আমার প্রস্রাব ও মলত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, প্রথমেই সে যা করবে তা হলো একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিয়োগ দেবে; যাতে সে জেলে হাই কমোডে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। আমার স্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছিল। সে জানত, আমি মজা করছি না। আমি আমার এএফপি সহকর্মীদের, আমার সাবেক সহকর্মীদের এবং কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদেরও কর্তৃপক্ষের কাছে আমার মামলাটি তুলে ধরতে বলেছিলাম।
পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, আল্লাহ করুণাময়। আমি জেলে যাইনি। কিন্তু আজও আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো, যদি আমি কখনো জেলে যাই, তাহলে কি আমি হাই কমোডে যাওয়ার সুযোগ পাব!
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। এরপর টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধের পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হয়।