উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাপ্রধান জেলারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধানসহ (ভারপ্রাপ্ত) নিহতের পরিবার সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নিহত পাইলট তৌকির ইসলামের ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকায় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেড শেষে তাকে রাজশাহীতে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিকাল সাড় ৫টায় উপশহর ঈদগাহে মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম প্রশিক্ষণ বিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
সোমবারের (২১ জুলাই) ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু।