× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

১ বছরের ‘আলোচিত প্রশ্নগুলোর’ উত্তর দিলেন প্রেসসচিব

ডেস্ক রিপোর্ট।

১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব হিসেবে দায়িত্বের এক বছরের যাত্রাকে ‘চমৎকার’ বলে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন শফিকুল আলম।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক দেওয়া ইংরেজিতে দেওয়া এক পোস্টে এমন অনুভূতির কথা জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার পোস্টটির বাংলা অনুবাদ শেয়ার করেন প্রেসসচিব।

ফেসবুক পোস্টে গত এক বছরে নিজের কাজের মূল্যায়ন এবং কিছু সমালোচনার জবাব দিয়েছেন শফিকুল আলম।

শফিকুল আলমের ভাষায়, ‘অবিশ্বাস্য একটি যাত্রা ছিল এটি। একটি বিদেশি সংস্থার ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন থেকে দৈনিক স্পটলাইটে এসেছিলাম। গত এক বছরে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেছি। কাজটি গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছে এবং তা আস্তে আস্তে গড়ে তুলতে হয়েছে।

আগে যেহেতু এটি মূলত আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছিল।’

নিজের কাজের মূল্যায়ন করে প্রেসসচিব বলেন, “আমার কাজ কি আমি ভালো করেছি? আমি করেছি-আমি বিশ্বাস করি। আমার কিছু বন্ধু যদিও অন্য কিছু মনে করে। আমি তাদের মতামতকে সম্মান করি।

ইস! আমি যদি আরো ভালো করতে পারতাম। আমার কিছু ভুল ছিল। মাঝে মাঝে আমি প্রতিক্রিয়া জানাতে খুব দেরি করেছি। মাঝে মাঝে আমার প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত হয়নি। অর্থনীতির মতো যোগাযোগকে ‘ডিসমাল সায়েন্স’ বলা হয়।

নিয়ম আছে-কিন্তু বাস্তবতা সব সময় তা মানে না।”

এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু হারানোর কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘বছরটি কঠিন ছিল, আমার স্ত্রী, সন্তান এবং ভাইবোনদের জন্য। আমার অবস্থানের জন্য আসা চাপ তাদের সহ্য করতে হয়েছে। আমি বন্ধুদের হারিয়েছি, সাংবাদিকদের হারিয়েছি।”

তিনি বলেন, কিছু তরুণ সাংবাদিক খোলাখুলিভাবে আমার সমালোচনা করেছে। আমাকে একজন ‘স্পিন ডাক্তার’ হিসেবে দেখেছে। কিন্তু আমি স্পিন করিনি। আমি সাদাকে ‘সাদা’ আর কালোকে ‘কালো’ বলেছি । ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য মানে এই নয় যে এক পক্ষ মিথ্যা বলছে।

গত এক বছরে যে ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন, সেগুলোকে প্রশ্নে রেখে উত্তর দেন শফিকুল আলম।

*হাসিনার ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার কী প্রয়োজন ছিল?

হ্যাঁ, ছিল। তিনি ছিলেন একজন নির্মম স্বৈরশাসক। জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে তার জায়গা দেখানো দরকার ছিল।

*আপনি কি বামপন্থীদের ‘বনসাই’ বলেছেন?

না, আমি তা বলিনি। আমি বলেছি ওরা বাংলাদেশকে বনসাই করে রাখতে চায়।

*আপনি কি আপনার দায়িত্বের পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন?

না, আবার সাংবাদিকতায় ফিরব ইনশাআল্লাহ।

*লন্ডনে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কি আপনাকে আক্রমণ করেছিলেন?

না। চাথাম হাউজের বাইরে কিঞ্চিৎ চিৎকার করেছিল । এটা ছিল পশ্চিমা ধাঁচের প্রতিবাদ। তারা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এ রকম প্রতিবাদ করতে পারত। খুন করার চেয়ে ঘেউ ঘেউ করা ভালো।

*আপনি সরকারের মুখপাত্র নাকি প্রেসসচিব?

হোয়াইট হাউসের ক্লাসিক মডেল অনুযায়ী, একজন প্রেসসচিবই রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব এবং সরকারের মুখপাত্রও। প্রেসসচিবের ভূমিকা ওভারল্যাপ হয়।

*“স্টারমার কানাডা ভ্রমণ করছেন” মন্তব্য কি ইচ্ছাকৃত ছিল?

না, প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের প্রথম দিনে একজন ব্রিটিশ এমপি জানিয়েছিলেন যে তিনি সন্দেহ করছেন যে স্টারমার হয়তো কানাডায়। আমি প্রেসকে বলেছিলাম যে সে ‘সম্ভবত’ কানাডায়। ধারাভাষ্যকাররা ‘সম্ভবত’ বাদ দিয়েছিল। আমার ভুল হয়েছিল, কথা বলার আগে চেক করে নেওয়া উচিত ছিল।

*আপনি কি কাজটি উপভোগ করছেন?

একেবারে। আমার জন্য এটি একটি বিশাল শিক্ষা সফর ছিল।

*আপনি কি চাপে আছেন?

না, তবে ৩৬ ঘণ্টায় দিন হলে আমার জন্য ভালো হতো।

*আপনি আপনার সরকারের কর্মক্ষমতা কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

এ++। সংস্কার চলছে, ট্রায়াল দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মনোযোগ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে।

*আপনি আপনার প্রেস উইংকে কিভাবে রেট করেন?

পথ প্রদর্শক। ভবিষ্যতের প্রেস উইংয়ের জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করা গেছে।

*আপনি কি এখন ধনী?

না, আমার সঞ্চয়ের একটি ভালো অংশ শেষ হয়ে গেছে।

*আপনার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়?

লাইভ ব্রিফিং বা টক শোতে ভুল কিছু বলে ফেলা-যেখানে কোনো উপায় নেই কথাটি ফিরিয়ে নেওয়ার।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.