চীন, জাপান কিংবা ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালে গেলে চোখে পড়বে ছাত্র-শিক্ষকরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটাই কাজ করছে: পড়াশোনা, গবেষণা, উদ্ভাবন। সেখানে রাজনীতি নেই, পোস্টার নেই, দল নেই। ছাত্ররা স্বাধীনভাবে কাজ করছে, নতুন আবিষ্কার করছে। আমেরিকার তরুণরা রোবট, মহাকাশ, নতুন ড্রাগ বা মেশিন লার্নিং নিয়ে ব্যস্ত। ২৫-২৬ বছর বয়সে তারা উদ্যোক্তা হচ্ছে, স্টার্টআপ গড়ে তুলছে। ইউরোপে পিএইচডি শুরু হয় ২২-২৩ বছর বয়সে।
বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কি দেখা যায়? দিনভর হাউকাউ, দলীয় রাজনীতি, ছাত্র-শিক্ষকরা মিলে বিতর্ক আর দলের ছায়ায় সময় নষ্ট করা। পড়াশোনা ও গবেষণার প্রতি মনোযোগ নেই। এ ধরনের নোংরা সংস্কৃতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আফ্রিকার ক্ষুধাপীড়িত দেশেও এমন নেই।
পাশের দেশ ভারত, ইতিমধ্যে ২৩টি বিশ্বমানের আইআইটি গড়ে তুলেছে। আমরা আজও তা করতে পারিনি। আমরা কি কখনো শিখবো? নাকি জীবনভর নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ষড়যন্ত্রের কারণে ভোলা শেখানো হবে?
বিশ্বের দেশগুলো তাদের তরুণদের কাজে লাগায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। আর আমরা আমাদের তরুণদের দাস বানাই—মগজে, মনোভাবেও, কর্মকাণ্ডেও।