বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতেও গণমানুষের ওপর গুম ও হত্যা চালিয়েছেন। তিনি ভারতে বসে আ’লীগের নেতা ও কর্মীদের মাধ্যমে দেশে নাশকতা চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। ফখরুল বলেন, “ভারতে তিনি শয়তানির আস্তানা বানিয়ে বসে রয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার নামে হত্যা, লুটপাট ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকশাল গঠন করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং পত্র-পত্রিকাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
ফখরুল contrast করেছেন শহীদ জিয়ার সময়ের সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া দেশবাসীকে মুক্তি দিয়েছিলেন, বহু দল রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন এবং ১৯৭৬-৭৭ সালে খাদ্য সহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি নিশ্চিত করেছেন। কলকারখানা চালু করেছেন, খাল খনন করেছেন।” তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে শহীদ জিয়ার মতো কার্যক্রম দেশকে এগিয়ে নেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ২০ হাজার নেতাকর্মী হত্যা ও ২,৫০০ নেতাকর্মী গুমের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, “আপনাদের উপর আঘাত এলে আমরা সেই হাত ভেঙে দেব।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারবেন এবং নগরীর খাল ও লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে।
ফখরুলের বক্তব্যের সূত্রপাত হয় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর ২ নম্বর ব্রিজ এলাকায় খাল ও লেক পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সভাপতিত্ব করেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো: মোস্তফা জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম. কফিল উদ্দিন, মো: আফাজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে উত্তরা-বাড্ডা-মিরপুর এলাকায় দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছি। কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচনে সফল হতে পারবে না।