জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ছাত্রদল ভোট বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই আশঙ্কার বিষয়। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। আমি আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ আরও বলেন, আমরা দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণসহ দেখিয়েছি ভোট গণণার মেশিন যে প্রতিষ্ঠান থেকে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে সেটি বিএনপির একজন ব্যক্তি ওনার প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, হঠাৎ করে পোলিং এজেন্ট রাখার সিদ্ধান্তের ফলে সকালে একটা সমস্যা হয়েছিল যা পরে সমাধান হয়েছে।
আরিফ উল্লাহ বলেন, ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশের মানুষ চায় দেশের সুষ্ঠু ধারার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সেজন্য ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। ডাকসুর মতো জাকসুতেও পুরো প্যানেল নিয়ে জয়লাভের প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওএমআর মেশিন নিয়ে যে ভুয়া তথ্য প্রচার করেছে ছাত্রদল, সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক আসলে বিএনপির লোক বলে দাবি করেন শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী।
নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে আরিফ উল্লাহ বলেন, নির্বাচনে অনেকগুলো সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে কোন কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। সেখানে নির্বাচন বর্জনের কোন প্রশ্ন আসে না।
এদিকে ছাত্রশিবিরের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কে ভোট বর্জন করবে কে করবে না সেটা তাদের বিষয়। শিক্ষার্থীদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে যদি কেউ ভোট বর্জন করে, তাতে কিছু করার নেই। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোতে ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার কিছু আগে মাওলানা ভাসানী হলের গেস্টরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।
এর কিছুক্ষণ পর অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক।