ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশানস্থ নগরভবনে একটি রুমকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা আনুষ্ঠানিক বরাদ্দ ছাড়াই ভবনের ছয়তলায় একটি রুম দখল করে সেটিকে ইউনিয়ন কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। সেখানে ঝোলানো ব্যানারে স্পষ্টভাবে দেখা যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি। নগরভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, এসব প্রতীকী ছবি ব্যবহার করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে ভবনের ভেতর।
নগরভবনের ওই ফ্লোরেই রয়েছে প্রধান হিসাব রক্ষণ, রাজস্ব, সমাজকল্যাণ ও আইন বিভাগ। অথচ গোটা ভবনে অন্য কোনো ইউনিয়নের অফিস নেই। ফলে সংবেদনশীল জায়গায় শ্রমিক দল কিভাবে জায়গা নিল এ প্রশ্ন এখন কর্মচারীদের মুখে মুখে। অভিযোগ রয়েছে, এই দখলকৃত জায়গাকে ঘিরেই নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের এক নতুন অঘোষিত কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। জানা গেছে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট স্বাক্ষরিত একটি তালিকার ভিত্তিতে কয়েকজনকে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেয়া হয়েছে, যা কর্মকর্তারা অবৈধ বলে দাবি করছেন।
কর্মকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, শ্রমিক দলের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান অবসরে গেলেও সংগঠনের সভাপতির পদ ছাড়তে নারাজ। তার সাথে মিলে সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট বরাদ্দের আগেই অফিস দখলের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বুলেট বলেন, আমরা নিয়মমাফিক রুম বরাদ্দের আবেদন করেছি। এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে ব্যানার ঝোলানোর বিষয়টি আমি দেখব, প্রয়োজনে সরিয়েও ফেলব। শ্রমিক দলের এই দখল–বিতর্ক নিয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।