বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনিকে হত্যা করা হয়। এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে লালবাগ থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মতিয়ার রহমান বুলবুল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ রিমান্ড আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন। দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার বিষয়ের প্রাথমিক সত্যতা পরিলক্ষিত হয়। এ আসামির মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ তথা তাকে নিয়ে অভিযান করলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, উদ্ধার করা অস্ত্রের তথ্য, তার কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না এবং ঘটনার সাথে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কি না তা উদঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।
রাজধানীর আজিমপুর থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৩ এর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, টগরকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলভার, একটি ম্যাগাজিন, কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১৫৫ রাউন্ড গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, ২টি মুখোশ ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ওইদিন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টগর জানিয়েছে তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করতেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, টগর সনি হত্যা মামলায় ২০০২ সালের ২৪ জুন গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘ সাজাভোগের পর ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সরকারের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান। তবে মুক্তির পর থেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। উদ্ধার হওয়া মুখোশের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এসব মুখোশ ব্যবহার করতেন। এছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করেছেন কি না সেটা তদন্তে জানা যাবে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পরদিন র্যাব-৩ এর ডিএডি (কোম্পানি কমান্ডার) মো. খালেকুজ্জামান গতকাল শুক্রবার বিকেলে টগরের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।