বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিয়ে ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এ অবস্থায় রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো গণশুনানিতে অংশ নেবে না সংগঠনটি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ক্যাবের তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণশুনানি ছাড়াই সরকারি কোম্পানির তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। এছাড়া গণশুনানিতে ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রমাণিত না হলেও জেট ফুয়েল বিক্রিতে পদ্মা তেল কোম্পানির চার্জ হার বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে নতুন শিল্প ও বিদ্যমান শিল্প সম্প্রসারণে বর্ষিত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে শিল্প ভোক্তাদের জ্বালানি সুবিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সর্বোপরি, জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতার বৈধ ব্যবহার না করে নিজের পদ অপব্যবহার করেছে বিইআরসি, যা ভোক্তা অধিকার বিপন্ন করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিইআরসি আইনের ২০০৩-এর ধারা ২২(খ), ধারা ৩৪(৪) ও ৩৪(৬) লঙ্ঘন এবং ভোক্তা স্বার্থ খর্বের অভিযোগে ৩১ জুলাই রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছে ক্যাব। ওই চিঠিতে কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যকে স্ব-স্ব পদ থেকে অপসারণ এবং ধারা ৪২ অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
ক্যাব জানিয়েছে, অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্তমান বিইআরসিও একই ধরনের আইন লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জ্বালানি অপরাধ প্রতিরোধ ও সুবিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আনা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করবে না ক্যাব। এছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর সার শ্রেণির গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠাতব্য গণশুনানিতেও অংশ নেবে না সংগঠনটি।