বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কবে নাগাদ চালু হতে পারে— এই প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "রাশিয়াকে নভেম্বরে চালু করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা জানিয়েছে ডিসেম্বরে চালু করবে।"
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা
জ্বালানি মজুদ: উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
আইএইএ পর্যবেক্ষণ: আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি দল প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছিল। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করছে এবং আইএইএ-এর চূড়ান্ত সম্মতির পরই এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।
খরচ: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা দুই ইউনিটে মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নিরাপত্তা মান, প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা ও আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন অনুসরণ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। আইএইএ-এর নিয়ম মেনে সব শর্ত পূরণের পর বাংলাদেশ রূপপুর প্রকল্পে পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স পায়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটম ও বাংলাদেশ সরকার রূপপুরে এই প্রকল্প নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে।