রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা নদনদীর পানি আগামী দুই দিন দ্রুত বাড়তে পারে। যার ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়ার সই করা এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোয় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে বলা হয়, রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল গত ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল আছে; ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই নদীগুলোর পানি সমতল আগামী দুই দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। নদীগুলো আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা (Danger level) অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে তৃতীয় দিন বুধবার (৮ অক্টোবর) পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
উত্তরের এসব নদনদীর পাশাপাশি সোমেশ্বরী, ভুগাই-কংস নদনদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে। এসব নদনদীর কাছাকাছি নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এ ছাড়াও উত্তরের আরও কয়েকটি নদনদী যেমন করতোয়া, যমুনেশ্বরী, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, আত্রাই, আপার-আত্রাই, মহানন্দা, ঘাঘটের পানিও আগামী দুই দিন বাড়তে পারে।
এদিকে সবশেষ সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—আজ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।